হাসন রাজা যখন তার ১৩/১৪ বছর বয়সে তাঁর মায়ের স্বজন হারানো কথাটি জানলেন, মায়ের কষ্টটির কথা তার বুকের মাঝে গিয়ে এক বাসা বাধলো গভীর মনের অতলে। কিন্তু তাঁর আগে সুরমা নদীর তীরে মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে হাসন রাজা বেড়ে উঠেন। জন্মের পর থেকেই একমাত্র শিশুপুত্রকে মা হুরমতজান বিবি যক্ষের ধনের মত আগলিয়ে রাখতেন। চারপাশে লোকে লোকারন্য ভরা হাসন রাজার বাল্যকালটি ছিল ছবির মত রঙিন। বাড়িভরা পরিচারক পরিচারিকার মধ্যে শিশুকালটি ছিল উৎসবমোখর। একদিন হুরমতজাহান বিবি ঘরে বসে কাজের মহিলা সোনার মা-কে ডাকলেন। আদেশ হলো ‘আমার হাসনকে সুরমাপারে খোলা বাতাস খাইয়ে আন্।’ তিনি ভাবলেন এই বদ্ধ পরিবেশে হাসন বোধ হয় হাঁপিয়ে উঠেছে। চার বছরের শিশু হাসন রাজার খোলা হাওয়ার স্পর্শে প্রাণটা জুড়ালো। পরবর্তীকালে হাসন রাজা তার নিত্য সহচর ‘উদাই’ জমাদারের কাছে স্মৃতিচারণ করেছেন এই বলে যেদিন তিনি প্রথম সুরমার পারে দাঁড়িয়েছিলেন, তার কাছে সেদিনের আবছা জগতটা ছিল যেন এক বিশালকায় দুনিয়া। প্রকৃতির সাথে হাসন রাজার এই প্রথম পরিচয়। দিগন্ত-বিস্তৃত এক অপূর্ব আলোর ছোয়াছ যেনো তার চোখেমুখে এসে ঠেকে। সুরমা জলরাশি ছুয়ে যেন উত্তর-পশ্চিম দিগন্ত বরাবর হেলান দেয়া খাসিয়া পাহাড় অবাক করলো বালক হাসন রাজাকে। চেয়ে রইলেন সেই দূরের প্রান্ত ছুঁয়া নীল পাহাড়ের দিকে। শিশুকালেই সুনামগঞ্জের মাটি, মানুষ আর প্রকৃতি এই তিন মিলে শিশু হাসন রাজার চিন্তা চেতনা, ভাবনা, ভাষা আর আঞ্চলিক শব্দচয়নের মানসপটটি তৈরি করেছিলো। এর পরপরই কৈশোরকালে তার মধ্যে একটি কাব্য সম্মিলন ঘটে। ‘সৌখিন বাহার’ কাব্যের গাথুনি শুরু হয় সেই সময় থেকে। মাত্র ছয় কি সাত বছর বয়সে বোন সহিফা বানুর নৈকট্য লাভ করেন হাসন রাজা। সিলেটে সাঈদিয়া মাদ্রাসায় বছর তিনেক পড়ালেখার পর সুনামগঞ্জে আবার ফিরে আসেন। প্রায় সমবয়সী সহোদর মুজাফ্ফার রাজা ও বোন সহিফা বানু হয়ে থাকেন ছেলেবেলার সঙ্গী। কিন্তু প্রায়ই তিনি গর্ভ ভরে সকলকে বলতেন বিশেষকরে নারী সম্প্রদায়কে যে, যদি মহিলা শিক্ষিতজনকে দেখতে চাও তাইলে সিলেটে আমার বোন সহিফা বানুকে দেখে এসো। মাত্র সেভেন পাশ সহিফা বানুকে তিনি মহা শিক্ষিত মনে করতেন এবং নারী শিক্ষার একটি সুন্দর উদাহরন স্বরুপ তাঁর বৈমাত্রিক বোন সহিফা বানুর পক্ষে তাঁর জোড়ালো অভিমত থাকতো।
হাসন রাজার বয়স তখন আট কি নয়। বাবা আলী রাজা রামপাশার জমিদারী সহায়-সম্পত্তি তদারকি করার লক্ষে বছরের মাস আটেক পর্যন্ত রামপাশায় অবস্থান করতে শুরু করলেন। শৈশবে বাবার উপস্থিতির অভাব সত্তে¡ও অন্দরমহলের চারপাশ আলোকিত করেছিলেন তার মা। ঘরের বাইরে প্রকৃতিপ্রেমী বালক হাসন চষে বেড়াতে থাকেন বন বাদার, হাওর জঙ্গল, নদী নালা আর খাল বিলে। সুনামগঞ্জের অনাবিল প্রকৃতি, আর কুড়া, দোয়েল, ময়না, সারস, মুনিয়া, টিয়া তাঁর চতুষ্পার্শে। দশটি গ্রাম্য খেলার সাথীদের সঙ্গে সহজিয়া জীবনের সুত্রপাত এসময়ই। দলবেধে খোলা আকাশের নীচে দৌড়ঝাপ, দিঘীর পানিতে সাঁতার কাটা, ভেলায় চড়ে নদীতে ভেসে বেড়ানো, ঘুড়ি উড়ান, লুকোচুরি ইত্যাদিতে তাঁর আনন্দের সীমা নেই।
বাবার সঙ্গে রামপাশায় গেলে পর বড় ভাইয়ের কাঁধে চড়ে গ্রাম ঘুরে বেড়ানো, কখনো বা কাপনা নদীর পাড়ে। রঙিন গানে-আনন্দে, কোলাহলে মুখরিত রামপাশা । সংগীতের সাথে এই প্রথম তাঁর পরিচয়।
হাসন রাজার ছেলেবেলা কেটেছে গ্রামে। গ্রামবাসীর সুখ দুঃখ হাসি কান্নার সাথে সবসময়ই তিনি জড়িয়েছিলেন। আর সেজন্যেই গ্রামের প্রতি তার বিশেষ মায়া। সচরাচর আর দশজন জমিদারের ন্যায় অনায়াশে নিজের জন্যে লখনউ, কলকাতা, ঢাকা কিংবা সিলেট শহরে তার ঘরবাড়ি থাকতে পারত। কিন্তু শহরের কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে আরাম আয়াশ তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। সাদামাটা লক্ষণশ্রী গ্রাম/কিংবা পরগনা ছেড়ে কোথাও যাবার ইচ্ছে হলো না তাঁর কোনদিনই।
ছেলেবেলায় একবার তাঁর কুস্তিখেলা দেখার সুযোগ হয়, আর আরেকবার শুনেন ঘাটুগান। এই দুটো জিনিসই হাসন রাজার বড় অপছন্দের। এগুলো দেখলেই তার মেজাজ মর্জি খারাপ হয়ে উঠতো। এতে কেমন যেনো একটি কৃত্রিমতা আর ভান্ডামি লুকিয়ে রয়েছে।
সুনামগঞ্জের অনাবিল প্রকৃতি আর মানুষের সাথে মিলেমিশে গিয়ে একাকার হয়ে গিয়েছিলেন হাসন রাজা। এসময় কুড়া পাখির সাথে হাসন রাজার মনটা ছিল আষ্টেপৃষ্ঠে বাধা। গনিউর রাজা বর্ণীত হাসন রাজার কুড়া শিকাড়ের অসংখ্য জায়গার নাম জানা যায়। শুধুমাত্র লাউড় অঞ্চলে ৩৪টি স্থানের নাম এবং সিলেটে ১৬টি স্থানের নাম উল্লেখ করেছেন তিনি। ঠিক তেমনি সিলেটের দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলে অর্থাৎ এখনকার বিশ্বনাথ এলাকায় অসংখ্য স্থানে তাঁর বিচরন ঘটেছে।
বছরের দুই ঈদ, ঈদুল-ফিতর ও ঈদুল-আযহার দিনে বালক ও যুবক হাসন রাজা কেবল নিজের রঙিন জামা পরিধান নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন না, পাড়া প্রতিবেশী ও গরীব লোকের মাঝে রঙিন কাপড় বিতরণে, পিঠা সন্দেশ উপভোগে এবং মানুষের কুশল জানতে তাঁর ছিল অফুরন্ত আনন্দ ও তৃপ্তি। মিলাদুন্নবীতে ঘরে ঘরে মিলাদ ও নাথ গানের আসরে সুফি সুরভান্ডারের স্বাধ নিতেন তিনি। ঠিক বিপরীতে বিষাদময় মোর্হারম উদযাপন তরুণ ভাবুক হাসন রাজাকে উদাসীন করে রাখতো। সুনামগঞ্জে বাবা আলী রাজার নানার বাড়ি [ দাদি দৌলতজাহান বিবি], তেমনি দাদা আনোয়ার খানের [মা সহরজাহান বিবি ] নানার বাড়িও সুনামগঞ্জে। হুরমত জাহান বিবিকে বিয়ে করার ফলে এই সুনামগঞ্জেই আলী রাজার ওরশে জন্ম নেন হাসন রাজা। মুর্শিদাবাদ থেকে আগত সেনাপতি অয়েজদি কোরেশীর বোন সহর জাহান বিবি। আর সেনাপতির দুই কন্যা সবর জাহান বিবি এবং দৌলত জাহান বিবি। মুর্শিদাবাদের নওয়াবরা ছিলেন শিয়া মতালম্বী। মুর্শিদাবাদ থেকে আগত সেনাপতিগণও ছিলেন ওই মতাবলম্বী। সুনামগঞ্জের তখনকার সীমান্ত রক্ষক সেনাপতি অয়েজদি কোরেশী [আলী রাজার মাতামহ] ও তার উত্তর পুরুষগণ এবং স্থলাভিসিক্ত সেনাপতি মির্জা মুরাদ বেগের সময়েও বাড়িতে বাড়িতে মহা ধুমধামের সাথে মুহরম পালিত হত। মুহররম উপলক্ষে তাজিয়া বের করা হত। পরবর্তীতে বহু বছর যাবত এই রেওয়াজ এ অঞ্চলে প্রচলিত ছিল। তাজিয়া পর্ব বন্ধ হবার পরও অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলো তরুণ হাসন রাজার দৃষ্টি আকর্ষণ করত। এসবে তিনি এক বিশেষ আনন্দ-আমেজ উপভোগ করতেন।
সেকালে সুনামগঞ্জ শহরের অধিবাসীদের মধ্যে হিন্দু স¤প্রদায় ছিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠ। শহরজুড়ে প্রতি বছর পূর্ণোদ্যমে পুজাপার্বণ পালিত হত। এসব অনুষ্ঠানে হাসন রাজা কৌতুহলী মন নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। ল²ীপুজা, স্বরস্বতীপুজা, কালীপুজা ও দূর্গাপুজায় হাসন রাজা প্রায়ই আমন্ত্রিত হতেন। পুজার মাঙ্গলীক দিকগুলা এই সময় তার কাছে উন্মোচিত হয়।
হাসন রাজার কাছে রথযাত্রার বিশেষ এক আকর্ষণ ছিল। শহর এলাকা ঘুরে রথযাত্রা যখন পশ্চিম বাজার এসে উপস্থিত হত তখন রেওয়াজ অনুযায়ী ঐ বিশেষ স্থানে লোকবাদ্যযন্ত্রের মহড়া বসত। সেখানে তিনি অসংখ্য লোকজনসহ উপস্থিত হতেন এবং এক আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হতো। জগন্নাথ পার্বণের এই ধুমধামের রথযাত্রা এক রঙিন লোকারণ্যে তার চোখে অপূর্ব ঠেকতো। মানুষের সুর কলধ¦নিতে হাসন রাজার মন মেতে উঠত। দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন প্রত্যাবর্তনের স্বরণে প্রতি বছর চাকা বিশিষ্ট রথে দেবতাদের উপাসনাপর্ব চিত্তাকর্ষক। বসন্তের ফাগুনে রঙের মাখামাখিতে হাসন-মন যখন আনন্দে নেচে উঠত, সে-সব উৎসবে তখন তিনি উপস্থিত হবার পর এক পরিশীলিত পরিবেশে কৃষ্ণলীলার হুলিখেলা তার মনকে কেড়ে নিত। হিন্দু মুসলিম সবার জন্য আনন্দের বন্যা বয়ে আসতো, প্রাণজুড়ানো গানের ডালি নিয়ে আসতো একদল গায়ক গায়িকা। বসন্তের আগমনে বাজারের ব্যবসায়ী ধনী মহাজন হাসন রাজার পা থেকে কোমর পর্যন্ত আবীর ছড়িয়ে দিতেন। এরপর পর¯পরের প্রতি ছুড়াছুড়ি করত আবীরের পিচকারী এবং সঙ্গে সঙ্গে সুর মিলিয়ে হলি গানে সমস্ত এলাকা মুখরিত হয়ে উঠত
আজি ফাগুন ওরে
এই মধুর লগন
মন ময়ুরী নাচে
জাগে ত্রিভূবন
খেলে হুলি কোমল-লোচন।
গুঞ্জরে ভোমরায়
ফাগুন ওরে গীত গায়
মৌপিয়া পক্ষিয়ে করতল বায়
ফুলফলে মধুর গুঞ্জন
নাচি উঠে বন উপবন।
খেলে কমল-লোচন।
অথবা
লাল সরোবর লাল
হইয়াছে আবিরে,
ছি ছি লাজে মরিরে।
এই সময় ঢোল, ঢাকি, বাঁশি, কাসি, সারেঙ্গির সুরধ্বনি, রঙিন পোষাকের সমারোহ আর নানান রঙের ছুড়াছুড়িতে হাসন রাজার জগতটা যেন রঙিন হয়ে উঠত। আত্মহারা হয়ে যেতেন তিনি কৃষ্ণলীলায়।
হাসন রাজা তখন মাত্র ১৫ বছরে পা দিয়েছেন। একে একে এগিয়ে যাচ্ছিল তার রঙিন দিন। প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়া হাসন রাজার কেবলমাত্র জৌলুসের ছোঁয়া লেগেছে। বাবা শেষ বয়সে এসে দেখলেন উবায়দুর রাজা কিছুতেই জমিদারীতে মন দিচ্ছে না। তিনি রামপাশার বিরাট সম্পত্তি সামলাতে বছরের অধিকাংশ সময়ই সেখানে কাটিয়ে হিম-শিম খাচ্ছিলেন। এদিকে বাবার অনুপস্থিতিতে হাসন রাজা কুড়া দোয়েল শিকার নিয়ে আরও ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। প্রাচুর্যের মাঝে হাসন রাজা পেলেন অবাধ স্বাধীনতা।
একবার বর্ষাকালে সুরমা নদী ফুলে ফেপে উঠেছে। নদীর শ্রোতধারা ধরে লক্ষণশ্রী থেকে অচিনপুর-টুকের বাজার হয়ে যখন খরচার হাওরমুখী হলেন, পড়ন্ত বিকেলের সূর্য তখনো দিগন্ত স্পর্শ করেনি। এমন সময় হাসন রাজার চোখে ধরা পড়ল জলরাশির পশ্চিম প্রান্তে এক সুন্দরী গোসল সেরে ছোট্ট গাঙের জল থেকে ডাঙায় উঠছেন। হাসন রাজা কেমন যেন এক ভাবাবেগ কাটিয়ে পরক্ষণে তার সঙ্গীদের আদেশ করলেনÑ বাাড়ির দিকে নাও ফিরাও। খবর পাওয়া গেল ওই কুমারী পাশ্ববর্তী হিন্দু জমিদার কন্যা। হাসন রাজা ঘরে ফিরে মায়ের কাছে আবদার করলেনÑ মা, আমি ওই জমিদার কন্যাকে বিয়ে করব। হাসন রাজা ছাড়বার পাত্র নন। মা হুরমুতজান বিবি পড়লেন ভীষণ বিপাকে। এমন অবস্থায় হাসন রাজার একমাত্র মামা এমদাদ আজিজ চৌধুরী ওরফে তুরন মিয়াকে বল্লী থেকে আনতে গয়না নৌকা পাঠান হলো। পরের দিন মামা এলেন। ঐ তরুণীকে তাঁর জীবন-সঙ্গিনী করা চাই। পরবর্তীতে হাসন রাজার একটি গানে উঠে এসেছে এ বিষয়টি।
ঝলমল ঝলমল করেরে তারা
ঝলমল ঝলমল করে
নূরের বদন সই প্রেয়সীর
নূরের বদন সই
কেমনে করি তারে ছাড়া,
বাড়িত আমি রই।
ওরে আমার আরিপরি ভাই
তারে আমার বিয়ে করা চাই
হিন্দু আর মুসলমান আমি, কিছুই বুঝি নাই।
অবশেষে মামার হস্তক্ষেপে হাসন রাজাকে নিবৃত্ত করা গেলো। প্রথম জীবনে সেই প্রবল মনোবাঞ্জা চিরদিনের জন্যে অপূর্ণই থেকে গেলো। সুকুমার সেই প্রেমানুভূতির উন্মেষকালে হাসন রাজার না পাওয়ার বেদনায় বিদুর হয়ে সারাজীবনই সম্ভবত: একটি পরোক্ষ স্বর্গীয় প্রেমিকভাবাপন্নতা, পরে সিদ্ধ সাধনার দিকে পা বাড়াতে সহায়ক হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিনের মাঝে হাসন রাজা থেকে সেই অপূর্ব জনপ্রিয় গানটি কাব্যের রূপ ধারন করলোÑ মানবপ্রেম আর ঐস্বরিক প্রেম একাকার হয়ে হাসন রাজাকে আরো ভাবুক করে তুললো।
দেওয়ানা বানাইল মোরে, পাগল করিল
আরে না জানি কি মন্ত্র পড়িয়ে যাদু করিল।
কিবা ক্ষণে হইল আমার, তার সঙ্গে দেখা
অংশীদার নাইরে তার সে তো হয় একা।
রূপের ঝলক দেখিয়ে তার, আমি হইলাম ফানা
সে অবধি লাগল আমার, শ্যাম পীরীতের টানা।
কিন্তু এর কয়েকবছর আগে তাঁর অবস্থা ছিলো এমন যে, তার মা চেয়েছিলেন, জমিদারী পরিচালনার দলিলপত্রাদি বিষয়ে দ্রæত জ্ঞান আহরণ করা। তাই মাদ্রাসায় লেখাপড়ার বছর তিনেক পরই আবার তিনি সুনামগঞ্জে ফিরে আসেন। তিন চার বছরের মাদ্রাসা শিক্ষার পর তার জন্যে পড়ালিখার অতৃপ্তিই রয়ে গেল চিরকালের জন্যে।
এতদসত্তে¡ও অল্প বয়সে তিনি কবিতা ও গান লেখার মধ্য দিয়ে কাব্যসৃষ্টি শুরু করেন। বিশেষত পাখি পশু ও মানুষকে নিয়ে তিনি ত্রিপদী ছড়া তার ‘সৌখিন বাহার’ নামক গ্রন্থে রচনা করেন।